প্রকাশিত: ১১/১২/২০১৬ ৭:৩২ এএম

তুরস্কের ইস্তানবুলে  চালানো জোড়া বিস্ফোরণে এ পর্যন্ত ১৫ জনের প্রাণহানির খবর জানা গেছে। তুরস্কের সরকারি কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি খবরটি নিশ্চিত করেছে। একে সন্ত্রাসবাদী হামলা হিসেবে সন্দেহ করছে কর্তৃপক্ষ।
কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, বিস্ফোরণে আহত হয়েছে আরও ৬৯ জন।  অহতদের মধ্যে অন্তত ২০ জন পুলিশ সদস্য রয়েছে বলে কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে নিশ্চিত করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো প্রত্যক্ষদর্শী এবং নিরাপত্তাসূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, হামলাকারীদের প্রাথমিক লক্ষ ছিল পুলিশ এবং পুলিশের গাড়ি। সাম্প্রতিক সময়ে ধারাবাহিক সন্ত্রাসী হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে তুরস্ক।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদুলু পোষ্ট জানায়, নিরাপত্তা বাহিনীর আশঙ্কা অনুযায়ী দুই বিস্ফোরণের একটি ছিল আত্মঘাতী বোমা হামলা। অপর হামলাটি পরিচালিত হয়েছে গাড়িবোমা দিয়ে।
শনিবার রাতে বেসিকটাস স্টেডিয়ামের কাছে পুলিশ সদস্যদের বহনকারী গাড়ি লক্ষ্য এ জোড়া বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। বিস্ফোরণের পর এরিনা মাঠ সংলগ্ন সব রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বেসিকটাস স্টেডিয়ামে একটি ফুটবল ম্যাচের দুই ঘণ্টার মাথায় এ হামলা চালানো হয়।
এখনও পর্যন্ত কেউ এ হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে হামলায় আইএস এবং কুর্দি সশস্ত্র যোদ্ধারা জড়িত বলে সন্দেহ করছে তুরস্ক। এই বছরে তুরস্কের মাটিতে এটি ৫ম হামলা।

হামলায় বহু প্রাণহানির আশঙ্কা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে প্রথমে ১৩ জনের প্রাণহানির কথা জানিয়েছে তারা। নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স-এর খবরেও তখন ১৩ জনের প্রাণহানির কথা বলা হয়। বিবিসি এবার সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে হতাহতের সংযখ্যা নিশ্চিত করেছে। সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে ১৫ জন নিহত এবং ৬৯ জনের আহত হওয়ার খবর দিয়েছে তারা।

বিস্ফোরণের পরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। তারা  পরিস্থিতি নিয়নন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছেন। আহতদের দ্রুত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে ঘটনা স্থলে বেশকিছু অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আসা হয়।

তুরস্কভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভি জানিয়েছে, ফুটবল ম্যাচ শেষে দর্শকরা যখন ছড়িয়ে পড়েন তখন পুলিশের গাড়িও ঘটনাস্থল ত্যাগ করছিল। এ সময় পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিস্ফোরণের পরপরই ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলেন পুলিশ সদস্যরা। এ সময় নবনির্মিতি বেসিকটাস স্টেডিয়াম থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। শোনা যায় গুলির শব্দ। দু’জন প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সকে জানান, তারা স্টেডিয়ামের বাইরে দুটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন।

বিস্ফোরণস্থল সংলগ্ন একটি মসজিদের ক্লিনার ওমর ইলমিজ। বিস্ফোরণের সময় মসজিদের পাশের একটি ক্যাফেতে তিনি চা পান করছিলেন। তার ভাষায়, ‘ঘটনাস্থলের আকাশ যেন আগুনে ছেয়ে গেছে। লোকজন টেবিলের নিচে মাথা গুঁজছিল, নারীরা কান্না করতে শুরু করে। ফুটবল ভক্তরা ক্যাফেতে চা পান করা রেখে আশ্রয় খুঁজতে আরম্ভ করে। এটা ছিল ভয়ঙ্কর, জাহান্নামের আগুনের মতো।’

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারে এক সপ্তাহে তিন রাজ্যে জান্তা বাহিনীর বোমাবর্ষণ

মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী বৃহস্পতিবার রাখাইন রাজ্যের পাউকতাউ টাউনশিপে বিমান হামলা চালিয়ে কয়েকজন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা ...

মালয়েশিয়ায় জাকির নায়েকের প্রকাশ্যে বক্তব্য দেওয়ার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

ভারতীয় ইসলামী চিন্তাবিদ ও বক্তা ড. জাকির নায়েকের প্রকাশ্যে বক্তৃতা দেওয়ার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে মালয়েশিয়া। ...

মিয়ানমার জান্তা প্রধান ও সু চিসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

রোহিঙ্গা গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর প্রধান কমান্ডার সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং, ...